বঙ্গবন্ধু টানেলে ব্যবহৃত হবে বসুন্ধরা বিটুমিন

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নৌ-টানেল ‘বঙ্গবন্ধু টানেলে’ (কর্ণফুলী টানেল) ব্যবহার করা হবে দেশের শীর্ষতম শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের বসুন্ধরা বিটুমিন। এর মধ্য দিয়ে দেশের উন্নয়ন খাতের মেগা প্রজেক্টে নতুন পালক যুক্ত করছে বসুন্ধরা।

বঙ্গবন্ধু টানেল চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল। বসুন্ধরা বিটুমিন বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র বেসরকারি বিটুমিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু টানেলের রাস্তায় ব্যবহৃত হবে বসুন্ধরার উৎপাদিত বিটুমিন।

এ লক্ষ্যে গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পারে বঙ্গবন্ধু টানেল কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে বসুন্ধরা অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কম্পানি লিমিটেডের (বিওজিসিএল) সঙ্গে টানেলের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কম্পানি লিমিটেডের (সিসিসিএল) চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। বঙ্গবন্ধু টানেল সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্প।

বসুন্ধরা অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কম্পানি লিমিটেডের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) সেক্রেটারি মাকসুদুর রহমান এবং চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কম্পানি লিমিটেডের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প ব্যবস্থাপক লি ফ্যাং শিং।

দেশের প্রয়োজনীয় বিটুমিনের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার নিয়ে বিটুমিন প্লান্ট স্থাপন করে বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা গ্রুপের সেক্টর বি-এর প্রধান বিপণন কর্মকর্তা কিংশুক হোসেন বলেন, ‘দেশে এখন পাঁচ লাখ টন বিটুমিনের চাহিদা আছে। বসুন্ধরা বিটুমিনের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৯ লাখ টন। বসুন্ধরা এখন পাঁচ লাখ টন উৎপাদন করে। শিগগিরই উৎপাদনে আরো চার লাখ টন যোগ হবে এবং বাড়তি বিটুমিন বিদেশে রপ্তানি করা হবে।’

গতকাল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিওজিসিএলের এজিএম (মার্কেটিং) সুকান্ত কুমার শাহা, ডেপুটি ম্যানেজার (অ্যাকাউন্টস) শ্যামল মিয়া এবং সিসিসিএলের প্রধান প্রকৌশলী চাই জুলিয়াং, বিজনেস ম্যানেজার চেং হাইউই, ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজার জিয়ং ক্যাং।