ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ও শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের হাত ধরে দুই বাংলার মিলনের ডাক

বৃহস্পতিবার ক্লাব তাঁবুর লনে এই অনুষ্ঠানে ছিলেন সমরেশ চৌধুরি, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, অলোক মুখোপাধ্যায়, অতনু ভট্টাচার্য, মেহতাব হোসেন, রহিম নবি, আলভিটো ডিকুনহা-সহ এক ঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলার।

 

ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের হাত ধরে ভারত-বাংলাদেশ ফুটবল সংস্কৃতি এক ধাপ এগোল। তারা গাঁটছড়া বাঁধল বাংলাদেশের শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের সঙ্গে। এই উপলক্ষে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সংবর্ধনা জানাল শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের চেয়ারম্যান, এবং বসুন্ধরা গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সায়েম সোবহান আনভীরকে।

বৃহস্পতিবার ক্লাব তাঁবুর লনে এই অনুষ্ঠানে ছিলেন সমরেশ চৌধুরি, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, অলোক মুখোপাধ্যায়, অতনু ভট্টাচার্য, মেহতাব হোসেন, রহিম নবি, আলভিটো ডিকুনহা-সহ এক ঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলার। এ ছাড়াও ছিলেন সোহবানের স্ত্রী সাবরিনা সোবহান, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মহম্মদ ইমরুল হাসান। ছিলেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সুব্রত দত্ত, আইএফএ সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার, সহ-সভাপতি

 

 

সায়েম সোবহানকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকে সাম্মানিক আজীবন সদস্য পদ দেওয়া হয়। সুব্রত দত্ত এবং ইমরুল হাসান তাঁদের বক্তব্যে দুই বাংলার ফুটবল জনপ্রিয়তার কথা তুলে ধরেন। দেবব্রত সরকার বলেন, ‘‘এক সময় দুই বাংলা এক ছিল। শিল্প, সাহিত্য, খেলাধুলা এবং জীবনাদর্শে সারা পৃথিবীর সামনে উজ্জ্বল হয়েছিল। কোনও এক অজানা দেওয়ালের কারণে আমাদের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমাদের হৃদয়ে বাংলাদেশ সেই একই রকম রয়েছে। আজ সেই হৃদয়ের টানেই দুই বাংলার আবার এক সাথে চলা প্রয়োজন। বসুন্ধরা এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাব মিলিত ভাবে দুই বাংলার সমন্বয়ের কাজ করতে পারে।’’

 

সায়েম সোবহান বলেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে সব সময় নিজের ক্লাব বলেই ভেবেছি। তাই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকে যখন আমন্ত্রণ আসে, তখন আর ‘না’ বলিনি। এই অনুষ্ঠানে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব হৃদয় দিয়ে আমাদের কাছে টেনে নিয়েছে। আমরা চাই দুই বাংলার ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ ও সাধারণ মানুষ ভবিষ্যতে আরো কাছাকাছি আসুক।’’

অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিরূপ সেনগুপ্তের গ্রুপ নৃত্য পরিবেশন করেন।